চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ
ক. হ্যাচারিতে লালনকৃত ডিমগুলোকে ২৫০ পিপিএম পরমালিন দিয়ে ধৌত করা।
খ. খাচা এবং পেনে চাষকৃত আক্রান্ত মাছগুলোকে শতকরা ৩-৫ ভাগ ফরমালিন দিয়ে ২-৩ মিনিট গোসল দেয়া।
গ. বিকল্প হিসাবে শতকরা ৫ ভাগ লবন পানিতে গোসল দেয়া যেতে পারে।
প্রতিষেধক/প্রতিকার
ক. হ্যাচারীর প্রতিটি যন্ত্রপাতি ও ট্যাংক সম্পূর্ণরুপে পরিষ্কার করার পর শতকরা ১০ ভাগ ফরমালিন পানি দিয়ে ধৌত করা।
খ. অনিষিক্ত ও মৃত ডিমগুলোকে অবিলম্বে হ্যাচারি ট্যাংক থেকে সরিয়ে নেয়া এবং অধিক খাদ্য প্রয়োগ না করা।
২) রোগের নাম - মাছের ক্ষত রোগ (ইপিজুটিকআরসারেটিভসিনড্রোম )
আক্রান্ত মাছের প্রজাতি - শোল, গজার, টাকি, পুঁটি, বাইম, কৈ, মেনি, মৃগেল, কার্পিও এবং তলায় বসবাসকারী অন্যান্য প্রজাতির মাছ।
রোগের লক্ষন ও কারণ
ক. এ রোগের মুল কারণ এ্যাফানোমাইসিস ইনভাডেনস্ নামক ছত্রাক দ্ধারা মূলতঃ
মাছের মাংসপেশী আক্রান্ত হয়। এছাড়া কিছু ব্যবকটিরিয়া, প্রোটোজোয়া সংশ্লিষ্ট
আছে বলে জানা যায়। রোগাক্রান্ত হওয়ার পূর্বে পানির গুনাগুনের অবনতি ঘটে,
যেমন ঃ
i) হঠাৎ তাপমাত্রার কমতি (১৯° সেঃ এর কম)।
ii) পি, এইচ-এর কমতি (৪-৬)।
iii) এ্যালকালিনিটির কমতি (৪৫-৭৪ পিপিএম)।
iv) হার্ডনেস-এর কমতি (৫০-৮০ পিপিএম)।
v) ক্লোরাইড এর স্বল্পতা (৩-৬ পিপিএম)।
চিকিৎসাওঔষধপ্রয়োগ
ক. নিরাময়ের জন্য ০.০১ পিপিএম চুন ও ০.০১ পিপিএম লবন অথবা ৭-৮ ফুট গভীরতায়
প্রতি শতাংশ জলাশয়ে ১ কেজি হারে চুন ও ১ কেজি হারে লবন প্রয়োগ করলে
আক্রান্ত মাছগুলো ২ সপ্তাহের মধ্যে আরোগ্য লাভ করে।
প্রতিষেধক/প্রতিকার
ক. আগাম প্রতিকার হিসাবে আশ্বিন কার্তিক মাসে বর্ণিত হারে লবন ও চুনের
প্রয়োগ করলে আসন্ন পরবর্তী শীত মৌসুমে মাছের ক্ষত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে
অব্যাহতি পাওয়া যায়।
৩) রোগের নাম - ক্ষত রোগ
আক্রান্ত মাছের প্রজাতি - সিলভার কার্প
রোগের লক্ষন ও কারণ
ক. উপকূলীয় অঞ্চলে মাছ চাষের পুকুর বন্যায়প্লাবিত হলে ক্লোরাইডের
অস্বাভাবিক বৃদ্ধির (৩০ পিপিএম এর অধিক) ফলে কেবল মাত্র সিলভার কার্প মাছে
দ্রুত ক্ষত রোগ দেখা দেয়।
চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ
ক. আক্রান্ত পুকুরে তিন ভাগের দুই ভাগ পানি মিঠাপানির দ্ধারা পরিবর্তন করা।
খ. প্রতি শতাংশ জলাশয়ে ৩/৪টি হারে চালতা ছেঁচে সারা পুকুরে ছড়িয়ে দিতে হবে।
প্রতিষেধক/প্রতিকার
ক. বর্ণিতহারে চালতা প্রয়েগের ফলে ক্ষতরোগ আক্রান্ত সিলভার কার্প দ্রুত আরোগ্য লাভ করে।
খ. পুকুরকে বন্যামুক্ত রাখুন।
৪) রোগের নাম -পাখনা অথবা লেজ পঁচা রোগ
আক্রান্ত মাছের প্রজাতি - রুই জাতীয় মাছ, শিং মাগুর ও পাঙ্গাস মাছ।
রোগের লক্ষন ও কারণ
ক. প্রাথমিক ভাবে পিঠের পাখনা এবং ক্রমান্বয়ে অন্যান্য পাখনা আক্রান্ত হয়।
এ্যারোমোনাড্স ও মিক্সোব্যাকটার গ্রুপের ব্যাকটেরিযা দ্ধারা এ রোগের সৃষ্টি
হয়।
খ. পানির পি-এইচ ও ক্ষরতার স্বল্পতা দেখা দিলে এ রোগ দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ
ক. ০৫ পিপিএম পটাশযুক্ত পানিতে আক্রান্ত মাছকে ৩-৫ মিনিট গোসল করাতে হবে।
খ. পুকুরে সার প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে।
প্রতিষেধক/প্রতিকার
ক. রোগজীবানু ধ্বংসের পর মজুদকৃত মাছের সংখ্যা কমাবেন।
খ. প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করুন।
User Comments: